নাম পরিবর্তন করে ১৮ বছর আত্মগোপনে কিলার আজাদ

সংগৃহীত ছবি

 

মাদকের কারবার ঘিরে দ্বন্দ্বে রাজধানীর কাফরুলে প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত হন নাজমা বেগম নামে এক নারী। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন হৃদয়, মানিক, হিরা, কিলার আজাদ ও আমির নামে কয়েকজন। এ ঘটনায় আজাদ কাজী ওরফে সন্ত্রাসী আজাদ ওরফে কিলার আজাদকে (৪৫) যাবজ্জীবন সাজা দেন আদালত।

 

পলাতক আজাদকে দীর্ঘ ১৮ বছর পর গত শনিবার বিকালে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা থেকে আটক করেছে র‌্যাব। গতকাল র‌্যাব-৪ এর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়েছে।

 

র‌্যাব জানায়, মাদক কারবারির অর্থ নিয়ে বিরোধের জেরে ২০০৫ সালে আজাদ ও তার সহযোগীরা নাজমা বেগমকে তার ঘর থেকে টেনে বের করে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করেছিলেন। পরে তারা পালিয়ে যান। আজাদকে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি ওই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। আজাদ ও নাজমা বেগম একসঙ্গে কাফরুলে বসবাস করতেন। একসঙ্গে মাদক কারবারও করতেন। আজাদের সুবাদে নাজমার পরিচয় হয় হৃদয়, মানিক, হিরা ও আমিরের সঙ্গে। নাজমা তাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন মাদকের কারবার করেছেন। কারবারের অর্থ নিয়ে এক সময় কিলার আজাদ ও মানিকের সঙ্গে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়। ২০০৫ সালের ৮ জুলাই সকালে হৃদয়, মানিক, হিরা, আজাদ ও আমির বিরোধের জের ধরে নাজমাকে তার ঘর থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে আনেন। প্রকাশ্য দিবালোকে তাকে গুলি করে হত্যা করেন তারা। পরে নিহতের মা বাদী হয়ে মানিক, হিরা, কিলার আজাদ, হৃদয়, আমির ও অজ্ঞাত আরও দুই-তিনজনকে আসামি করে কাফরুল থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পরই হৃদয় পালিয়ে যান। তাকে ছাড়া বাকি সবাইকে গ্রেফতার করে কাফরুল থানা পুলিশ। পরে আসামিরা ১৫ মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পান। এর মধ্যে কিলার আজাদ পালিয়ে যান।

 

র‌্যাব বলছে, আত্মগোপনে যাওয়ার পর কিলার আজাদ গাজীপুরে অবস্থান নেন। সেখানে তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। নাম পরিবর্তন করে আসিফ হিসেবে তিনি ১৮ বছর পার করেন। তিনি বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে থাকতেন। ২০১৩ সালের শুরুর দিকে পাবনার বেড়া উপজেলায় কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন। পরে হত্যার ঘটনা জানাজানি হলে তিনি যশোরে পালিয়ে যান। সেখানে তিনি ভেকুর হেলপার হিসেবে কাজ করতেন। ২০২০ সালে শুরুর দিকে যশোর থেকে মানিকগঞ্জের খাশিরচর এলাকায় চলে আসেন আজাদ। স্থানীয় এক ব্যক্তির বাড়িতে থেকে তিনি কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ করতেন।

সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» গণ অভ্যূত্থানের বর্ষপূর্তিতে ইসলামপুরে বিএনপির বিজয় শোভাযাত্রা

» বড়াইগ্রামে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষ্যে গণমিছিল ও সমাবেশ

» লক্ষ্মীপুরে জুলাই গণঅভ্যুত্থান শহীদ পরিবারের সম্মিলন

» প্রাইম ব্যাংক ও বিকাশ-এর ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট সেবা বিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষর

» বাগেরহাটে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে বিজয় র‌্যালি ও আলোচনা সভা       

» ইসলামপুরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ লিটনের কবরে পূস্পমাল্য অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন

» ভরা বর্ষা মৌসুমেও নেই পানি পাট জাগ নিয়ে বিপাকে ইসলামপুরের কৃষকরা

» ১৬ বছরের জুলুমের আওয়ামী দু:শাসন ও স্বৈরশাসন পুঞ্জিভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ৫ আগস্ট  : ড. মঈন খান 

» বিশেষ অভিযানে ওয়ারেন্টভুক্ত ৯৭৯ আসামি গ্রেপ্তার

» মানুষ এবার জামায়াতকে ক্ষমতায় দেখতে চায়: মাসুদ সাঈদী

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

নাম পরিবর্তন করে ১৮ বছর আত্মগোপনে কিলার আজাদ

সংগৃহীত ছবি

 

মাদকের কারবার ঘিরে দ্বন্দ্বে রাজধানীর কাফরুলে প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত হন নাজমা বেগম নামে এক নারী। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন হৃদয়, মানিক, হিরা, কিলার আজাদ ও আমির নামে কয়েকজন। এ ঘটনায় আজাদ কাজী ওরফে সন্ত্রাসী আজাদ ওরফে কিলার আজাদকে (৪৫) যাবজ্জীবন সাজা দেন আদালত।

 

পলাতক আজাদকে দীর্ঘ ১৮ বছর পর গত শনিবার বিকালে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা থেকে আটক করেছে র‌্যাব। গতকাল র‌্যাব-৪ এর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়েছে।

 

র‌্যাব জানায়, মাদক কারবারির অর্থ নিয়ে বিরোধের জেরে ২০০৫ সালে আজাদ ও তার সহযোগীরা নাজমা বেগমকে তার ঘর থেকে টেনে বের করে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করেছিলেন। পরে তারা পালিয়ে যান। আজাদকে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি ওই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। আজাদ ও নাজমা বেগম একসঙ্গে কাফরুলে বসবাস করতেন। একসঙ্গে মাদক কারবারও করতেন। আজাদের সুবাদে নাজমার পরিচয় হয় হৃদয়, মানিক, হিরা ও আমিরের সঙ্গে। নাজমা তাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন মাদকের কারবার করেছেন। কারবারের অর্থ নিয়ে এক সময় কিলার আজাদ ও মানিকের সঙ্গে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়। ২০০৫ সালের ৮ জুলাই সকালে হৃদয়, মানিক, হিরা, আজাদ ও আমির বিরোধের জের ধরে নাজমাকে তার ঘর থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে আনেন। প্রকাশ্য দিবালোকে তাকে গুলি করে হত্যা করেন তারা। পরে নিহতের মা বাদী হয়ে মানিক, হিরা, কিলার আজাদ, হৃদয়, আমির ও অজ্ঞাত আরও দুই-তিনজনকে আসামি করে কাফরুল থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পরই হৃদয় পালিয়ে যান। তাকে ছাড়া বাকি সবাইকে গ্রেফতার করে কাফরুল থানা পুলিশ। পরে আসামিরা ১৫ মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পান। এর মধ্যে কিলার আজাদ পালিয়ে যান।

 

র‌্যাব বলছে, আত্মগোপনে যাওয়ার পর কিলার আজাদ গাজীপুরে অবস্থান নেন। সেখানে তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। নাম পরিবর্তন করে আসিফ হিসেবে তিনি ১৮ বছর পার করেন। তিনি বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে থাকতেন। ২০১৩ সালের শুরুর দিকে পাবনার বেড়া উপজেলায় কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন। পরে হত্যার ঘটনা জানাজানি হলে তিনি যশোরে পালিয়ে যান। সেখানে তিনি ভেকুর হেলপার হিসেবে কাজ করতেন। ২০২০ সালে শুরুর দিকে যশোর থেকে মানিকগঞ্জের খাশিরচর এলাকায় চলে আসেন আজাদ। স্থানীয় এক ব্যক্তির বাড়িতে থেকে তিনি কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ করতেন।

সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com